চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়
পুনরায় লোড করার সময় থিমের রঙ।
চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়
প্রতি ৫ সেকেন্ডে থিমের রঙ পরিবর্তন ।
আমার পাঠকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এখনো পড়াশোনা করছেন অর্থাৎ যারা শিক্ষার্থী। কেন বলছি? কারণ আজকের টিউনটি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বেশি কাজে লাগতে পারে বলে আমি আশা করছি। কেননা আজকের টিউনে থাকবে ছাত্রজীবনে সফল হওয়ার জন্য বা ছাত্রজীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সেরা কিছু টিপস। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
…(বাকি টপিকগুলো পরের টিউনে থাকবে, ইংশাআল্লাহ)
একজন মানুষের কতক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন তা তার বয়সের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। যেহেতু আমরা এখানে ছাত্রদের নিয়ে কথা বলছি তাই সেদিকে নাইবা যাই। যেহতু ছাত্র জীবনের মূল কাজই হচ্ছে পড়াশোনা করা তাই তার মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন। এর জন্য আবশ্যক পর্যাপ্ত ঘুম। একজন মানুষের স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘন্টার ঘুমের (গভীর ঘুম) প্রয়োজন। তাই আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে তাহলে আপনাকে অবশ্যই দিনে কম্পক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
আপনি যদি একজন ভালো ছাত্র হতে চান তাহলে আমি বলব আপনাকে প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা উচিত। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষনাতেও দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস মানুষের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারি। আর আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে দিনের প্রারম্ভ বা শুরু করা। এরপর আপনি চাইলে কিছু হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন। আর অন্যক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে পারেন।
আপনার কখন পড়া উচিত তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। আপনার মানসিকতা, পছন্দ-অপছন্দ, মনযোগ ইত্যাদির উপর লক্ষ রেখে নিজের পড়ার টাইম টেবিল তৈরী করুন। কোনো শিক্ষার্থীর সকালে পড়তে ভাল লাগে আবার কারো রাতের পড়াটাকেই সবচেয়ে ভালো মনে হয়। আপনি নিজেই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন, কখন পড়লে আপনি সবচেয়ে বেশি সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। তারপর সে অনুযায়ী পড়ার টাইম টেবল তৈরী করুন। তবে সকালে পড়াটা কিছুটা বেশি উপকারিতা বয়ে আনতে পারে কেননা সকালে আমাদের মাথা একদম ফ্রেশ থাকে আবার পরিবেশও থাকে কোলাহল মুক্ত ফলে সহজে পড়া বোঝা ও আয়ত্ব করা সহজতর হতে পারে আপনার জন্য।
কার কতক্ষণ পড়া উচিত, তা আসলে আমি নির্দিষ্ট সময়ের গন্ডিতে এনে উল্লেখ করতে পারবনা। কেননা কেউ যে কোনো পাঠ শেষ করতে পারে ২ ঘন্টায় তা অন্য একজনের জন্য ৪ ঘন্টার পরিশ্রমেও শেষ নাও হতে পারে। এর কারণ কতক্ষণ পড়া হয়েছে, তার চেয়ে কিভাবে পড়া হয়েছে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কতটা মনযোগ দিয়ে আপনি পড়ছেন তার উপরই অনেকটা ভিত্তি করবে আপনাকে দৈনিক কত ঘন্টা বা কত সময় ধরে পড়তে হবে। মূল কথা আপনার পাঠ শেষ করতে যত সময় লাগে তা যথাযথভাবে দেয়ার চেষ্টা করুন। তবে দৈনিক ৮-১০ ঘন্টার চেয়ে বেশি না পড়াই ভালো।
আপনি যে টেবিলে পড়েন তা যেন প্রকৃতপক্ষেই পড়ার উপযোগী হয় তা নিশ্চিত করুন। আপনার পড়ার মনযোগ নষ্ট করতে পারে এমন ডিভাইস (যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি) যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার জন্য পড়ার টেবিল হতে তা দূরে রাখুন। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। আপনি পড়ার মাঝে হয়ত কিছুটা বিরতি নেয়ার উদ্দেশ্যে ফোনটা হাতে নিলেন, ফেসবুকে একটু ঢুঁ মারলেন, ইমেইল চেক করলেন, মেসেঞ্জার কিছুটা ঘাটলেন.পরে দেখলেন ২ ঘন্টা চলে গেছে। এতে করে আপনার এতটা সময়তো নষ্টতো হলোই, তারপর আবার পড়ার মানসিকতাও চলে গেলো। তাই পড়ার টেবিল থেকে যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নাগালের কিছুটা বাইরে রাখুন।
আশাকরি আজকের টিউন থেকে আমার প্রিয় পাঠক তথা টিউডারগণ কিছু হলেও জানতে পেরেছেন। এমন টিউন আরো পেতে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। কোন বিষয়ে টিউন চান তা জানাতে পারেন টিউমেন্টস করে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হচ্ছে পরের টিউনে, ইংশাআল্লাহ.